যশোরে পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে শহরের লালদীঘির পাড় এলাকায় অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের চারপাশের প্রবেশ পথ ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার রাস্তা আটকে রাখায় মিছিল করতে পারেননি নেতাকর্মীরা। পরে বিকেলে দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করতে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন নেতৃবৃন্দ। 

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ঘিরে দিনব্যাপী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সঙ্গে গোটা লালদিঘী পাড় এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। গত ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ পাহাড় সমান বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কর্মসূচি সফল করেছে। সেই গণসমাবেশ থেকে বিএনপি জনগণের মুক্তির সনদসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ছিল প্রথম কর্মসূচি। 

তিনি আরও বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর পল্টন পার্টি অফিসে পুলিশ যে নৈরাজ্য চালিয়েছিল, সেখানে আমাদের মকবুল হোসেন নামে এক সহকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। দেশের সকল মহানগর এবং জেলা পর্যায়ে আজকে কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে নিয়ে আসা মাইক, চেয়ার পুলিশ নিয়ে গেছে। চেয়ার ও মাইক বহনকারী দুই ভ্যান চালক, একজন মহিলা দল নেত্রীসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাই। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, আমরা যশোরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের সংস্কৃতি লালন করি। কিন্তু আজকে একটি বিচিত্র ঘটনা বল প্রয়োগ করে পুলিশের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় স্বাভাবিক পরিবেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। 

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুল আলম জানান, বিএনপির মিছিলে বাধা বা আটকের বিষয়ে তার জানা নেই।

এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দলীয় কার্যালয়ের প্রবেশ পথ বন্ধ করে রাখলেও শহরের আরএন রোড থেকে মনিহার এলাকা পর্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে লালদিঘির পাড় এলাকার ব্যবসায়ীদেরও সারাদিনের ব্যবসায়ীক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর