লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে নিহত যুবকের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
চাঁদপুরে লঞ্চের সিটে বসা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত সুমন গাজীর (৩৫) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সুমনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে সুমনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। সুমনের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
নিহত সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকার ইউসুফ আলী গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
জানা গেছে , সুমন গাজী বুধবার ভোরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোনার তরী লঞ্চের যাত্রী সুমন গাজীর সঙ্গে সিটে বসা নিয়ে অপর যাত্রী মামুনের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় বাবু তার সহযোগীদের মুঠোফোনে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে উপস্থিত থাকতে বলে। এ সময় সুমন গাজী লঞ্চ থেকে নামলে বাবু ও তার সহযোগীরা তার ওপর হামলা করে। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে আটক করে এবং আহত সুমনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, সুমনের পেটের ডান পাশে গুরুতর জখম হয়। তাছাড়া তার পিঠের নিচসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। সুমন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভোরে অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
এদিকে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আনোয়ারুল হক/আরএআর