ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু ও ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট  মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গাংনী থানা পুলিশের এসআই জগদীশ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। 

আটককৃতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু, গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম, গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন উজ্জল, বিপুল হোসেন, চঞ্চল হোসেন ও জিয়াউর রহমান। পলাতক তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহিদুজ্জামান শিপুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অভিযান শেষে রাত ১১টার দিকে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, গাংনী বাজার সংলগ্ন উত্তরপাড়ায় শাহিদুজ্জামান শিপুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অনলাইনে জুয়া পরিচালনা করা হয়। তার মাধ্যমে অনেক মানুষ অনলাইন জুয়া খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। এমন অভিযোগে ডিবি ও গাংনী থানা পুলিশের দুটি দল রাতে শিপুর কার্যালয়ে অভিযান চালায়। তাদের ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ডিভাইস জব্দ করে প্রাথমিক পরীক্ষা করে পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ১১টার দিকে তাদের ৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস হিসেবে মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ ও ডিভাইসগুলো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে গাংনী থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দুটি দল উপস্থিত ছিল।

আক্তারুজ্জামান/আরকে