রসিক নির্বাচন
‘মেশিনের থাকি সিল মারা ভোটই ভালো আছিল’
‘কাম ফ্যালায়া বিয়ান (সকাল) থাকি লাইনোত আসি দাঁড়াইছু, এলা বেলা একটা বাজি গেলো। নগোলের (আঙ্গুল) ছাপ মিলিল না। ৫ ঘণ্টা লাইনোত দাঁড়ায়াও ভোটটা দিবার পামু না। ভোট তো দিবার পামু না কামেত গেলে টাকা পানু।’ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে উত্তম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথাগুলো বলছিলেন নগরীর উত্তম বনিক পাড়ার বাসিন্দা শরিফ উদ্দীন (৬৫)।
তিনি বলেন, এখন ফির পরে আসির কইল এইখানকার অফিসারগুলা। বাড়ি গেইলে আর আসিম না। নিজের খ্যায়া ভোট দিবার আসি এত যন্ত্রণা। মেশিনের থাকি সিল মারা ভোটই ভালো আছিল।
বিজ্ঞাপন
শুধু শরিফ উদ্দীনই নয় তার মতো ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে অনেক ভোটারদের। আঙুলের ছাপ না মেলায় দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুথে প্রবেশ করেও অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
গোলজাল হোসেন নামে এক ভোটার বলেন, ভোটের যে বড় লাইন, আগায় না। এই তখনে বাহিরত আছি। লাইনটা কমলে যাবো ভোট দিবার।
বিজ্ঞাপন
উত্তম বারোঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আবু বক্কর নামে আরেক ভোটার বলেন, সকালে আসিয়া দুপুরে ভোট দিনু। এমতে করিয়া ভোট হইলে সারাদিনে অর্ধেক মানুষ ভোট দিবার পাবার নয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর পিজাইডিং অফিসাররা বলছেন, আঙ্গুলের ছাপ না মিললে বা মেশিন সেটি গ্রহণ না করলে ফরমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এবার মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন সর্বমোট ২৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৩০নং ওয়ার্ডে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরকে