‘নতুন বই পেয়ে আমার কাছে খুব খুশি লাগছে। বাসায় গিয়ে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখবো। আমার কাছে অনেক আনন্দ লাগছে, খুব ভালো লাগছে।’ রোববার (১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নতুন বই পেয়ে এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নকিব মাহমুদ। 

একই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসির ইশফার এনায়েত ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

নুসরাত জাহান তানিশা নামের ২য় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন বছর, নতুন বই। খুব আনন্দ লাগছে। 

মাইজদী বালিকা বিদ্যা নিকেতনের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত বিনতে আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন দিন নতুন বই। আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এই বইগুলো বিনামূল্যে আমাদেরকে বই দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

অভিভাবক মানসী সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বই পাবো কী পাবো না এটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু বই পেয়েছি তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।  করোনাকালে তেমন পড়ালেখা হয়নি। এ বছর নতুন বই পাওয়ায় পড়াশোনা ভালো হবে।

হরিনারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবরিনা মাহাজাবিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বাচ্চাদের হাতে নতুন বই দিতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্যও আনন্দের। বাচ্চারা নতুন বই হাতে নিয়ে বাসায় গিয়ে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখবে। নতুন বই পেয়ে মনোযোগী হবে এই কামনা করছি। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের ২০০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বইয়ের চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ। আমরা বই পেয়েছি ৩ লাখ। সবগুলো বই বিদ্যালয় অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। 

নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে হলো নতুন বছরের প্রথম দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বাচ্চাদের আজকের দিনে বিনামূল্যে বই দিচ্ছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের ও গৌরবের। নতুন বছরে নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা উদ্দীপনা নিয়ে আরও ভালো করবে। লেখা পড়ায় মনোযোগী হয়ে আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে।

হাসিব আল আমিন/আরকে