নড়াইলে নৌকাডুবির দুইদিন পর চৌকিদার লাভু মিয়া (৩২) ও খানজে শেখ (৫৭) নামে আরও দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টায় ঘটনাস্থল থেকে লাবু মিয়া এবং দুপুর ১টায় খানজে শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চৌকিদার লাভু মিয়া জেলার কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের টুকু শেখের ছেলে। তিনি হামিদপুর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খানজে শেখ জোকর চর গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে।

কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন : নৌকাডুবিতে এখনো নিখোঁজ ৪, নদী পাড়ে অপেক্ষায় স্বজনেরা

নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মাহাবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের একপর্যায়ে সোয়া ১২টার দিকে আমাদের ডুবুরি দল নদীর তলভাগে একটি মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। মরদেহটি উদ্ধারের পর দুপুর ১টায় আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। নিখোঁজ যাত্রীরা শীতবস্ত্র পরিহিত থাকায় আশা করছি নদীর তলভাগে তাদের পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন : নড়াইলে নৌকা ডুবে মা-ছেলের মৃত্যু, নিখোঁজ ৮

নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত নাজমা বেগম, তার ছেলে নাসিম, চৌকিদার লাবু মিয়া ও খানজে শেখের মরদেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছেন রয়েল মন্ডল (২৮) ও মাহমুদ শেখ (৪৩)।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাহিরডাঙ্গা ও পার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের মধ্যবর্তী নবগঙ্গার মাঝনদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। পার বাহিরডাঙ্গা গ্রামে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ১৮ থেকে ২০ জন স্বজন ও প্রতিবেশী বাহিরডাঙ্গা গ্রাম থেকে নৌকাযোগে রওনা দেন। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নবগঙ্গার মাঝনদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ওই রাতেই ৫ নারী ও শিশুসহ মোট ৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সজিব রহমান/এমজেইউ