খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মনাটেক অরণ্য কুটিরে ৩৮ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গ করেন এলাকাবাসী/ ঢাকা পোস্ট

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে মনাটেক অরণ্য কুটিরে নিজেদের খরচে তৈরি করা ৩৮ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গ করেছেন এলাকাবাসী। রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে অরণ্য কুটির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ফিতা কেটে নবনির্মিত ৩৮ ফুট বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গের উদ্বোধন করেন সমুন মহাথের।

বুদ্ধমূর্তিটি তৈরির কাজে সবসময় পাশে থাকা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য কদম মোহন চাকমা বলেন, নিজেদের উদ্যোগে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট উচ্চতার বুদ্ধমূর্তি বানিয়েছি। আজ নতুন বছরের প্রথম দিনে মূর্তিটি উৎসর্গ করছি এবং জগতের সব মানুষের শান্তি কামনায় প্রার্থনা করছি।

বুদ্ধমূর্তিটি উৎসর্গের জন্য আসা গ্লোরি চাকমা পিয়া বলেন, আজ বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গ করা হয়েছে। আমাদের খুবই আনন্দ লাগছে। এটা মনাটেক এলাকার জন্য স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। এই অনুষ্ঠানে পিণ্ডদান, হাজার বাতি দান, টাকা দানসহ আরও অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এগুলোর মধ্য দিয়ে জগতের সকল প্রাণীর শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

মনাটেক অরণ্য কুটিরের ভদন্ত পঞ্ঞা সিদ্দি থের বলেন, বুদ্ধমূর্তি তৈরি করা এবং উৎসর্গ করার ধর্মীয় একটা গুরুত্ব আছে। সেটি হলো, যদি এই মূর্তি বানানোর পর দান করি এবং পূজা করি তাহলে বুদ্ধের মতো জ্ঞানী হওয়া যায়। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু কলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও পানছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবলু চাকমা ও নেলসন চাকমা শিল্প নন্দিত কারুকার্যে বুদ্ধমূর্তিটি তৈরি করেন। 

৩৮ ফুট বুদ্ধমূর্তি উৎসর্গ উপলক্ষে জগতের সকল প্রাণীর মুক্তি লাভের আশায় হাজারো পুণ্যার্থীর সমাগমে মনাটেক অরণ্য কুটিরে অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, পিণ্ডদান ও ভূমি দান করা হয়।

জাফর সবুজ/আরএআর