পঞ্চগড়ে টানা চার দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের পর বর্তমানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রির বেশি। তবে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও বইছে হিমেল হাওয়া। এ হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীত। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সোমবার ৯ ডিগ্রি থেকে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।

পঞ্চগড়ে বেলা অবধি দেখা যাচ্ছে না সূর্যের মুখ। বিকেল গড়ার পর থেকেই নামতে থাকে শীত। সন্ধ্যার পর রাত হয়ে ওঠে বরফের। হাটবাজারে কাগজ, টিউব পুড়িয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। নিম্নবিত্ত মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধ্যমত কিনছে গরমের কাপড়।

কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে।  

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকালের চেয়ে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশে মেঘ থাকায় উত্তর-পূর্বকোণ থেকে হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। তবে জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমতে পারে। 

এসকে দোয়েল/আরকে