তোমার নামে পিবিআইতে একটি মামলা হয়েছে এবং মামলার ওয়ারেন্ট আছে। তুমি আমাদের নগদ বা বিকাশ করে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। তাহলে আমরা আর আসবো না, মামলাটি এখানেই শেষ করে দেব। নিজেকে পিবিআই ময়মনসিংহের এসআই ফারদিন আহম্মেদ পরিচয় দিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা এলাকার রাশিদুল ইসলাম রাশিদ নামে এক ব্যক্তির কাছে এভাবেই টাকা দাবি করে একই এলাকার আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক নামে এক প্রতারক।

এসময় সে রাশিদুলের ইমো নম্বরে পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত একটি ভুয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কপিও পাঠায়। পরবর্তীতে টাকার জন্য বেশ কয়েকবার কল করে চাপ দিতে থাকে ওই প্রতারক। তবে রাশিদুল সেই ফাঁদে পা না দিয়ে বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করেন পিবিআই ময়মনসিংহ অফিসে। তখন তিনি প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন এবং একটি অভিযোগও দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টায় অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকা থেকে প্রতারক আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার। তিনি বলেন, এটি পিবিআইয়ের নামে প্রতারণার মতো একটি দুঃসাহসিক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এই মামলা দায়েরের পর পরই ওই প্রতারককে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রতারক চক্রের অন্যতম প্রধান আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, প্রতারক চক্রের সকল সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই মামলার প্রতারক চক্রের সদস্যরা বৃহত্তর ময়মনসিংহে বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, জাল-জালিয়াতিসহ ডিজিটাল প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উবায়দুল হক/এমএএস