সুতারখালী নদীগর্ভে বিলীনের পথে খুলনার দাকোপের কালাবগী বাজার জামে মসজিদ। মসজিদটির অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকি অংশ যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় মুসল্লীরা।

এদিকে বাজারে আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও অর্থ সংকটে সেটি শেষ করা যাচ্ছে না।  

স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লীরা জানান, কালাবগী বাজার জামে মসজিদের দক্ষিণ দিকের বড় একটা অংশ সুতারখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশও ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন অবস্থায় বর্তমানে ওয়াপদা রাস্তার অভ্যন্তরে জায়গা নিয়ে নতুন মসজিদের নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু টাকার অভাবে মসজিদ কমিটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে হিমশিম খাচ্ছেন। বর্তমানে মসজিদের খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে হচ্ছে।

কালাবগী মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান গাজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২১ সাল থেকে কালাবগী বাজার জামে মসজিদটি সুতারখালী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে। ধীরে ধীরে মসজিদটির অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকি অংশও নদীগর্ভে বিলীনের পথে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙা অংশে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ জন্য ছাউনি খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা স্থানে নামাজ আদায় করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটির কাজ চলছিল। কিন্তু টাকার অভাবে সেই কাজটিও এখন বন্ধ রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণে ১০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হবে। এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া জেলা পরিষদ থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা পেয়েছি। দ্বিতীয় দফার ৪০ হাজার টাকা এখনও পায়নি। সবমিলিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছি। বাকি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিজেরা অর্থায়ন করেছি।

তিনি আরও বলেন, কালাবগী বাজার থেকে যে অর্থ আয় হয়, সেই অর্থ মসজিদ পরিচালনার কাজ করা হয়। এছাড়া এলাকার মুসল্লি ও আমরা সহযোগিতা করি। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়েই নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। দ্রুত মসজিদটি নির্মাণে জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

মোহাম্মদ মিলন/কেএ