কুড়িগ্রামে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। দিন যতই যাচ্ছে তাপমাত্রা ততই কমছে। এতে করে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগার অফিসের তথ্য মতে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামীতে আরও তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানা গেছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের দুলু মিয়া বলেন, এতো ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে উঠে নাই, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। এই ঠান্ডায় কাজ করতে একদম মন চায় না।

আরেক কৃষক ভজু বলেন, শীত ঘন কুয়াশায় রোপা আমন বীজতলা নিয়ে দুশচিন্তায় আছি। এভাবে শীত পড়লে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নটি নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল। শীতে এখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। এখানে কম করে হলেও ৫-৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ আছে। এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৭শ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা বিতরণ করা হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে দুুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আজ কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু শৈত্য প্রবাহের এখনো নিচে রয়েছে। এ মাসে আগামীতে আরও কমতে পারে।এছাড়া এ মাসে ২ থেকে ৩টি শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে।

জুয়েল রানা/আরকে