গাছের পাতার সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হয় গ্রিন টি

চা পাতার সঙ্গে মেশানো হয় বিভিন্ন গাছের পাতা। পাতাগুলো গুঁড়া করে মেশানো হয় কেমিক্যাল। এসব পাতা শুকিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি করা হয় গ্রিন টি। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্ধুরখান ইউনিয়নের সিক্কা গ্ৰামে তৈরি এসব নকল গ্ৰিন টি যায় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিন বাড়ি থেকে ৮৭ বস্তা নকল গ্রিন টি পাতা উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গলের তিন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নকল গ্রিন টি পাতা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনায় জড়িতরা পালিয়ে যান। সিক্কা গ্ৰামের আব্দুর রহিম মিয়ার ঘর থেকে ৪০ বস্তা, নুর মিয়ার ঘর থেকে ৩৫ বস্তা, আব্দুল মজিদ মিয়ার ঘর থেকে ১২ বস্তা গ্রিন টি ও বালুমিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডার মাধ্যমে তৈরিকৃত চা পাতা উদ্ধার করা হয়।

এসপি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি; চক্রটি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান থেকে চা ও বিভিন্ন গাছের পাতা সংগ্রহ করে। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে এসব পাতা শুকিয়ে ঢেঁকি এবং যন্ত্রপাতির মাধ্যমে গুঁড়া করে কেমিক্যাল মিশিয়ে গ্রিন টি তৈরি করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে কৃষি বিভাগের মধ্যে চা শিল্প সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দিচ্ছে। বাজারে যদি এভাবে নকল চা পাতা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এই শিল্প দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। অবৈধ পন্থায় এসব চা পাতা উৎপাদন হলে সরকার রাজস্ব হারাবে। পাশাপাশি মানুষ‌ও প্রতারণার শিকার হবে।

ওমর ফারুক নাঈম/এএম