কুমিল্লার বুড়িচংয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর অর্থায়নে মাত্র ৩৭২ দিনে দোতলা একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার ইছাপুরা পশ্চিমপাড়া এলাকায় নির্মিত ওই মসজিদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মসজিদ-ই- নূর’।

গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে দোতলা মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ৩ হাজার মুসল্লি সেদিন নামাজ আদায় করেন। 

মসজিদের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক এমডি গাজীউল হাসান খান, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন জসিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবদুস সালাম বেগ, বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ মতিন এমবিএ, জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর হোসেন মিঠু, ষোলনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. বিল্লাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মানিক, বাসসের ঊর্ধ্বতন হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ ভুইয়া প্রমুখ। 

দোতলা মসজিদটিতে একটি গম্বুজ এবং দুটি মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের সামনের অংশে দেয়ালে উন্নতমানের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ভেতরে নান্দনিক ডিজাইন করা হয়েছে। মেঝেতেও তাপ সংবেদনশীল টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মসজিদটি নির্মাণে কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হয়েছে। যদিও ব্যয় নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি নির্মাতা।

আনোয়ার হোসেন নামে এক মুসল্লি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মসজিদটি হওয়াতে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। জামায়াতে নামাজ আদায় করতে আগে আমরা একটি মসজিদের শূন্যতায় ছিলাম, অনেক দূর গিয়ে নামাজ পড়তে হতো। আমাদের সেই সমস্যাটা কেটে গেল। ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর সাহেবকে। 

মসজিদ-ই-নুরের প্রাতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেন ভুইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলাকার মানুষ যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে পারে সেজন্যই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া এলাকায় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করার ইচ্ছা ছিল আমার পূর্বপুরুষদের। তাই পূর্বপুরুষদের স্বপ্ন পূরণে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। 

মসজিদ নির্মাণে ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। তবে যা ব্যয় হয়েছে সব একান্তই আমার আয়ের অর্থ ছিল। 

আরিফ আজগর/আরএআর