‘বাবার বাড়ি থেকে আমি স্বেচ্ছায় পালিয়ে এসেছি। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’ রাতে বিয়ের পরে সকালে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১) নামের এক তরুণী।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী নগরীর আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন ফাতেমা তাবাসসুম খান। এসময় তার স্বামী ফজলে রাব্বীও (২৬) উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফজলে রাব্বী অভিযোগ করে বলেন, ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হত। কয়েকজন বন্ধু মিলে সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ফাতেমাকে নিয়ে আসি। রাতেই আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের চার বছরের প্রেম। কিন্তু ফাতেমার মা-বাবা বিয়ে দিতে চাননি। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ২০১৯ সালে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করেনি। দেড় বছর পরে ২০২১ সালে রাজশাহীতে ফিরে আসে ফাতেমা। এরপর থেকে বাড়িতে তার ওপর নির্যাতন চলছিল।

সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা বলেন, শুনেছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমার ছোট ভাই তামীম খান জানান, নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ছেলে (ফজলে রাব্বী) ১০-১৫ জন লোক নিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে টেনেহিঁচড়ে তার বোনকে তুলে নিয়ে গেছে।

ফজলে রাব্বী আরও বলেন, ফাতেমার পরিবার থেকে হয়তো অপহরণের মামলা করবে। পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করলে জেল খাটতে হবে। সবকিছুর জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ফাতেমার ওপর আস্থা রাখছি। মামলা হলে ফাতেমা আদালতে বলবে কেউ তাকে অপহরণ করেনি। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে সে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসে বিয়ে করেছে।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এমজেইউ