বরগুনার বামনায় আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় তার বন্ধু রুবেল হাওলাদারকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা থেকে মোবাইল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম। 

রুবেল হাওলাদার উপজেলার দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের খলিল হাওলাদারের ছেলে। সে মাদারতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রহিম ও রুবেল একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। রুবেল এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। ওই মেয়ে থাকে চট্টগ্রামে। তার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার জন্য রুবেলের একটি মোবাইল ফোন দরকার ছিল। রুবেলের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষে মোবাইল কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বন্ধু রহিমকে হত্যা করে তার মোবাইল ফোনটি নেওয়ার পরিকল্পনা করে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধু রহিমকে নিয়ে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে চলাভাঙ্গা দরবার শরিফে আসে। এরপর কৌশলে রহিমকে দরবার শরিফের পেছনে ধানক্ষেতে নিয়ে পেছন থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে একাই হত্যা করে। এরপর রহিমের মোবাইলটি নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রামে চলে যায়। এরপর রহিম হত্যার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রুবেলকে সন্দেহ হয়। পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে চট্টগ্রাম থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিহত রহিমের স্বজনরা বলেন, একটি মোবাইলের জন্য রহিমকে হত্যা করবে এটি কেউ আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিভিন্ন সময়ে রুবেল-রহিমের মোবাইল ফোন নিতে আসতো এবং রহিম তার বন্ধু রুবেলকে মোবাইল দিয়ে দিত। এমন হত্যাকাণ্ড কেউ মেনে নিতে পারছে না।

এ বিষয়ে বামনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, রহিমের ব্যবহৃত মোবাইলের ক্লু ধরে অভিযুক্ত রুবেলকে সোমবার রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থেকে মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে রুবেল আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আগামীকাল সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। একটি মোবাইলের জন্য এমন হত্যাকাণ্ড সবাইকে চমকে দিয়েছে।

খান নাঈম/আরএআর