নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৯ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজিচালক মারা যান। ওই ঘটনায় বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু মামলাটি গ্রহণ না করে পর্যালোচনায় রেখেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। 

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার এএসআই আমিন জানান, কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি এখনো আমলে নেননি ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা। উনারা মামলাটি পর্যালোচনা করছেন। এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মামলা রেকর্ড হয়নি। এজাহারে সমস্যা আছে। ওনাকে বলা হয়েছে। পরে উনি ঠিক করে আনবেন বলেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরো কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে নাশকতা প্রতিরোধ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ২২ প্লাটুন পুলিশ, ১ প্লাটুন ডিবি পুলিশ ও ২ প্লাটুন র‌্যাব মাঠে রয়েছে। এছাড়াও ৭ জন অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক রয়েছেন। শুক্রবার থেকে আরও ৯ প্লাটুন পুলিশ থাকবে।

এদিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন।

আরএইচ