রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতেও ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি ছিল গত শনিবার। এরপর আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে বুধবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, আর ৯টায় ছিল ৯৩ শতাংশ। 

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন ঢাকা পোস্টকে জানান, সকাল ৬টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি  রেকর্ড করা হয়। পাবনার ঈশ্বরদীতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। 

এদিকে, হিমেল হাওয়ার কারণে রাজশাহীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শীত বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

রিকশাচালক লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ভোরের আজানের পরপরই রিকশা নিয়ে বের হই। আমার বেশি যাত্রী থাকে ট্রেনের। তবে আজ ভোরের দিক থেকেই প্রচুর বাতাস ছিল। বাতাস ও শীতে শরীরে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। সোয়েটার, জ্যাকেট ছাড়াও রেইনকোট পরি। আজ তাতেও শীত মানছে ন। 

গায়ে চাদর আছে, তার পরেও ঠান্ডা লাগছে। শীতে সড়কে মানুষ কম। তাই আয়-উপার্জন কমে গেছে। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকছি কিন্তু যাত্রী নেই, বলেন তিনি।

নগরী তালাইমারি এলাকায় কথা হয় স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রচুর শীত। পকেটের বাইরে হাত থাকলে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। শীতের কারণে পানি ছোয়ার উপায় নেই। ক্লাসে বাচ্চারাও জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকছে। দরজা-জানালা বন্ধ করে লাইট জ্বালিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। 

অভিভাবক নুসরাত নিশা জানান, আমার দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় সন্তান অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, মেঝ সন্তান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, আর ছোট মেয়ে ক্লাস টু-তে পড়ে। শীতের মধ্যেও তাদের নিয়ে সকালে বের হতে হচ্ছে। শীতের কারণে নিজের ছাড়াও পরিবারের সবার দিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে। 

আশিক/জেডএস