কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে ২ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নুরু মিয়া (৩৪) এবং পালাসুতা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩২)। শাহজাহান নামের অপরজন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে দারোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার ঢাকা পোস্টকে জানান, বেশ কয়েকবার ডাকাতির ঘটনায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়নের কেওট গ্রামে ডাকাত পড়েছে, সবাইকে সাবধান করে দিয়ে ওই গ্রামের মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে মাইকিং করা হলে স্থানীয়রা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এসময় সন্দেহজনক ৩ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুরু মিয়া এবং ইসমাঈলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। শাহজাহান নামের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরিফ আজগর/এমজেইউ