ফরিদপুরের সালথায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী।

পাশাপাশি বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে বর বাবা ইব্রাহিম শেখ ও কনের বাবা মোতালেব মৃধাকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও দুই অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্রী। তার সঙ্গে ফরিদপুর সদর উপজেলার আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বিল মাহমুদপুর এলাকার এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বর-কনের উভয় পক্ষের সম্মতিতে শুক্রবার বিকেলে বিবাহ সম্পন্ন করার দিন ঠিক করা হয়। সে অনুযায়ী কিশোরীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়।

খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিয়েবাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পাওয়া মাত্রই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী ওই বাড়িতে চলে আসেন। তিনি বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি বর ও কনের বাবাকে জরিমানা করেন এবং কিশোরীর বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আয়োজন করা হবে না- মর্মে দুই অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দীন আইয়ুবী বলেন, ওই কিশোরীর বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুয়ায়ী কনের বাবাকে ৫০ হাজার ও বরের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জহির হোসেন/আরএআর