কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১০০ বিঘা জমিতে ১০০ জন কৃষক বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান রোপণ করেছেন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বেবুলা আদিত্যপাশা এলাকায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে মাধ্যমে এ ধান রোপণের উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছরই প্রথম পাকুন্দিয়া উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে ধান রোপণ শুরু হয়েছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে মাধ্যমে কম সময় ও কম খরচে কৃষক ধানের চারা রোপণ করতে পারবেন। এবার উপজেলার ১০০ বিঘা জমিতে ১০০ জন কৃষক বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান রোপণ করছে। এই ধান একই সময়ে ঘরে তুলতে পারবে কৃষক।

বেবুলা আদিত্যপাশা গ্রামের কৃষক রোকন উদ্দিন জানান, কৃষি কাজে যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে সময় ও খরচ কমে এসেছে। আগে ১ বিঘা জমি রোপণ করতে ৩ জন শ্রমিকের সারাদিন সময় লাগতো। এখন মাত্র ৭০০ টাকায় ২ ঘণ্টায় এ জমিতে ধান রোপণ করা যাবে।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মালিক মাহমুদুল হক সুমন বলেন, কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে আমাদের মতো যুবকেরা কৃষিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে। আমি ৭০ পার্সেন্ট ভর্তুকিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন কিনেছি। নিজের জমি রোপণ করে আমার আয় ভালোই হবে আশা করছি।

এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আংগিয়াদী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ বলেন, বেবুলা আদিত্যপাশা বাগান বাড়িতে ১০০ জন কৃষক ১০০ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে রোপণ করবে। এখানে সকল কৃষকেরা একই দিনে ধানের বীজতলা তৈরি করেছে। এ কারণে একই দিনে এই ধান কর্তন করতে পারবে। এতে করে কৃষকের সময় ও অর্থ কম লাগবে। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম জানান, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে ধান রোপণ শুরু করা হয়েছে। কম খরচে ও কম সময়ে এ মেশিনের মাধ্যমে ধান রোপণ করা যায়। দিন দিনই কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশেও যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবে। দ্রুতই ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনে ধান রোপণ পাকুন্দিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধান রোপণ কার্যকমের উদ্বোধন উপলক্ষে পাকুন্দিয়া উপজেলা এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বেবুলা আদিত্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক মাঠে দিবসের আয়োজন করা হয়।

মাঠে দিবসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুস সামাদ, এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আংগিয়াদী ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

এসকে রাসেল/এমএএস