প্রবাদে আছে, ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’। আজ (রোববার) মাঘ মাসের প্রথম দিন। অনেকটা বাঘ পালানো শীত বিরাজ করছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। এ জেলায় টানা ১০ দিন ধরে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কম বেশি হওয়ায় শৈত্যপ্রবাহ রূপ নিচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারিতে। তবে টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে নাজেহাল এ জেলার সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। 

রোববার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

রোববার সকাল ৯টার দিকে কুয়াশার ভেদ করে দেখা গেছে সূর্যের মুখ। কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাস থাকায় অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মিলছে না রোদের উষ্ণতা। শীত দুর্ভোগে জীবনযাপন করছে নানান শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরীব অসহায় মানুষ। চা শ্রমিক, পাথর শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহনের চালকরা পড়েছেন বিপাকে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় আজ তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। গতকাল (শনিবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। জেলার ওপর দিয়ে আজ মৃদু শৈত্য প্রবাহিত হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসকে দোয়েল/ওএফ