ওয়াজ-মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে রাতে ঘর থেকে বন্ধুর সাথে বের হয়েছিল ১২ বছরের আবু বক্কার ওরফে আনন্দ। রাতে আর ফেরেনি সে। পরদিন সকালে নিজেদের ভাড়া নেওয়া সেচ পাম্প ঘরে মিলল আবু বক্কারের রক্তাক্ত মরদেহ। নিহতের চোখে ও অণ্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ (শুক্রবার) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া উত্তরপাড়ায় সেচ পাম্প ঘরের মধ্যে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।  

আনন্দ গজারিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও চর চিলগাছা উচ্চবিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ওয়াজ-মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে তার বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে সেচপাম্প ঘরের মধ্যে তার ছেলের মরদেহ দেখে স্থানীয় কৃষকরা তাকে খবর দেয়। সেচ পাম্পটি আমরা ভাড়া নিয়ে চালাই, এ কারণে ওই সেচ পাম্প ঘরের চাবিটা আমার ছেলে আবু বক্কারের কাছেই থাকতো।

সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিশুটির চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে এবং অণ্ডকোষও রক্তাক্ত। আলামত সংগ্রহের জন্য পুলিশের ক্রাইম সিন বিভাগ এসেছে। আসার পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে।  

শুভ কুমার ঘোষ/এনএফ