নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পাবনার শিশু সোয়াদ আলী/ সংগৃহীত ছবি

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সোয়াদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেলায় এটিই প্রথম মৃত্যু। রোববার ( ২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

শিশু সোয়াদ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের মো. সানোয়ার হোসেনের ছেলে। সে দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিপাহ ভাইরাসে এটিই পাবানায় প্রথম আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা বলে জানিয়েছেন পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। 

সোয়াদের বাবা মো. সানোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ২০ দিন আগে সোয়াদসহ পরিবারের সবাই মিলে খেজুরের রস খায়। গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে স্থানীয় স্কুলমাঠে খেলা অবস্থায় সোয়াদ অসুস্থবোধ করে। ওই দিন রাতে সোয়াদের জ্বর আসে এবং নাপা ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর জ্বর কমে যায়। এর তিন দিন পর সেলিমপুর বাজারের শাহজাহান চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে অবস্থা খারাপ হলে ২০ জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ভর্তি করার পর চিকিৎসক দেখে কিছু টেস্ট দিলে সেগুলো হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। গতকাল রোববার রিপোর্টে নিপাহ ভাইরাস ধরা পড়ে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সোয়াদ মারা যায়

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, আমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে পাবনায় নিপাহ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এটাই প্রথম আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা। শিশুটি‌ ঠিক কীভাবে কখন আক্রান্ত হলো তা জানতে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। 

এ নিয়ে চলতি বছর দেশে নিপাহ ভাইরাসে দুইজনের মৃত্যু হলো। এর আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছিল। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর