‘হাত ভাঙা আমার, স্বামী সন্তান কেউ নেই। পুলিশের কম্বল অর্ধেক বিছামু আর বাকি অর্ধেক গায়ে দিমু। অনেক উপকার হইলো। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুম।’

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট থানা প্রাঙ্গণে পুলিশের কম্বল পেয়ে এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করেন কবিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জয়তুন নেসা (৭০)।

পুলিশের কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বসিত ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জনতাবাজার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম (৫০)।  তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘শীতে অনেক কষ্ট করছি। কোনো একটা কম্বল পাই নাই। পুলিশের মাধ্যমে একটা কম্বল পাইছি। পুলিশের কম্বলে অনেক উপকার হইসে।’

কম্বল পেয়ে খুশি একই ইউনিয়নের জগদান্দ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে প্রতিবন্ধী আবু ছায়েদ (২৩)। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমারে একটা কম্বল দিছে। খুব ভালো লাগলো। শীতে কম্বলের জন্য খুব কষ্টে ছিলাম। পুলিশকে ধন্যবাদ।’ 

জানা যায়, বাংলাদেশ পুলিশ  সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম কবিরহাট থানা প্রাঙ্গণে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, ভবঘুরে বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও অসহাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। শীতবস্ত্র বিতরণের খবর পেয়ে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ও পথশিশু। পরে সবার হাতে সুশৃঙ্খলভাবে কম্বল তুলে দেন পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। কম্বল পেয়ে খুশি দুস্থ শীতার্তরা।

পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ  সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। তার অংশ হিসেবে কবিরহাট উপজেলার প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীসহ ৩০০ অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলো। স্বচ্ছল মানুষের উচিত সমাজের এসব সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এভাবে পর্যায়ক্রমে পুরো জেলার সব থানায় কম্বল বিতরণ করা হবে। 

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর