খামার ব্যবস্থাপক কার্যালয়ের জমিতে ধান চাষ

সাতক্ষীরা খামার ব্যবস্থাপক কার্যালয় আঙ্গিনার জায়গায় লিজ দিয়ে ধান চাষ করার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বোরবার (২২ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় থাকা সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সংলগ্ন সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের ভেতরে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করে ধান রোপনের প্রস্তুতি চলছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রসুলপুর এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে আরিজুল ইসলামের কাছে খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের আঙ্গিনায় থাকা খালি জায়গা লিজ দিয়েছেন। লিজ বাবদ আরিজুল প্রতি বছর এক লাখ টাকা দিতে হয় খামার ব্যবস্থাপককে। 

স্থানীয় রাবেয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আরিজুল অফিসের জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে চাষাবাদ করছে। তবে কত টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছে সেটি আমার জানা নেই।

লিজ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বর্গাদার আরিজুল ইসলাম জানান, খামারবাড়িতে ধানসহ অন্যান্য শাকসবজি চাষাবাদ করছি সেখানকার কর্মচারী হিসেবে। বিনিময়ে প্রতিদিন পারিশ্রমিক নিয়ে থাকি।

এদিকে খামার ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের বড়বাবু নামে খ্যাত এস এম সৈয়াদার রহমান সাংবাদিকদের কাছে বলেন, জায়গাটি বর্গা দেওয়া হয়েছে। চাষকৃত ধানের চার ভাগের একভাগ কর্মকর্তা নেবেন। তবে উৎপাদিত ধান ও অন্যান্য ফসল ভাগাভাগি কীভাবে হয় সেটার সঠিক কোন তথ্য সাংবাদিকদের দেননি বড়বাবু খ্যাত এস এম সৈয়েদার রহমান। 

এ সব বিষয়ে অভিযুক্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ও সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুস্ সাকিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ফাঁকা জায়গা রাখা যাবে না। সব জায়গায় চাষাবাদ করতে হবে। সেই নির্দেশনা মেনেই অফিস স্টাফদের সকলের সহযোগিতায় চাষাবাদ করছি।

সরকারি জায়গা লিজ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা লিজ দেওয়ার একতিয়ার আমার নাই।

সরকারি জায়গায় চাষাবাদ করা ধানসহ অন্যান্য ফসল কিভাবে ভাগাভাগি করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ জানান, ওটা সরকারি জায়গা। সেখানে মুরগী প্রজনন করা হয়। এই জায়গা ভাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোহাগ হোসেন/আরকে