টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মশক নিধন একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। দায়িত্ব গ্রহণের পর কঠোরভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা করেছি। জুন মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকার মানুষ মশারি ছাড়াই ঘুমাতে পেরেছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। 

শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

মেয়র তাপস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে নির্দেশনা মেনে আমরা ডেঙ্গু বা মশক নিধন করতে সক্ষম হয়েছি। কিউলেক্স মশার ব্যাপারেও আমাদের কর্মপরিকল্পনা আমরা সাজিয়ে ফেলেছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে মশা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি। 

মেয়র তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ১২ বছরের মধ্যেই একটা নিম্ন আয়ের দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছি। উন্নত ঢাকা তৈরি করার দৃঢ় প্রত্যয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা সেই গতিতেই উন্নত ঢাকা গড়ব। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকা শহরের সকল খাল-জলাশয় ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছি। অন্যান্য যে সংস্থার অধীনে খাল রয়েছে সেগুলো আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন খাল থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করেছি। পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে খালগুলো উদ্ধার করে আশপাশের ১০০ ফুট জায়গা দখলমুক্ত করেছি। খালের সংযোগগুলো স্থাপন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে আমরা স্লুইচগেটগুলো চেয়েছি। সেগুলো হস্তান্তর হলে আমরা মেরামতসহ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবো। আগামী বর্ষা মৌসুমে ঢাকাবাসী যেন জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত না হয়, সে লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কাউন্সিলরদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের মাগফিরাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। 

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শারিফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সী মোহাম্মদ আবুল হাসেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএআর