মাদারীপুরের কালকিনিতে মো. সাহেদ হোসেন (৩১) নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কালকিনি পৌর শহরের চরফতে বাহাদুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাহেদ হোসেন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেনসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন ও পৌর এলাকার চরফতে বাহাদুর এলাকার মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. সাহেদ হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাহেদ হোসেনকে একই গ্রামের মাহাবুল টেডনের বাড়ির বাগানে পাশে পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন ও আবু বক্কর সরদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত সাহেদ হোসেন বলেন, কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন ও আবু বক্কর সরদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে কুপিয়ে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা না এলে হয়তো আমি মরেই যেতাম। আল্লাহ আমাকে বাঁচাইছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।

স্থানীয় সুজন, মকবুল, হান্নান বলেন, আমরা এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় সাহেদকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাকে কে বা কারা মারধর করেছে সেটা আমরা জানি না। তার কাছে শুনেছি আনোয়ার কাউন্সিলর ও তার লোকজন কুপিয়ে রেখে গেছেন।

তবে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বা আমার লোকজন সাহেদের ওপর হামলা করিনি। তার ওপর কারা হামলা করেছে আমরা জানি না। এখন তারা বিষয়টি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এর আগে সাহেদ আমার ছেলের ওপর বিএনপির লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছিল।

এ বিষয়ে কালকিনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাকিব হাসান/এমজেইউ