শুদ্ধ ও যথাযথভাবে মাতৃভাষার চর্চা এবং বাংলা সাহিত্যের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ও বিশ্বের অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অষ্টম বাংলা উৎসব।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী।

রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজবাড়ী একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুরের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ডা. এনএএম মোমেনুজ্জামান, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক নাসিম শফি, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা আক্তার প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, বেশি বেশি বাংলা ভাষা চর্চার মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে। এ ধরনের উৎসব বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের মমত্ববোধ বাড়াতে সাহায্য করে।

এর আগে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর উদ্বোধনী নৃত্য ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে বাংলা উৎসবের সূচনা হয়।

রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা ২০১১ সাল থেকে বাংলা উৎসব করে আসছি। এটি অষ্টমবারের মতো আয়োজন। এ উৎসব করার উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষার সমৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।

জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি ও ২৮ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী অষ্টম বাংলা উৎসবের আয়োজন করেছে রাজবাড়ী একাডেমি। উৎসবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় রাজবাড়ীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ৫০টিরও বেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খ্যাতনামা শিল্পী ও সাহিত্যিকরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। থাকবে বাংলা ভাষা সাহিত্য ও বাংলা ব্যাকরণের ওপর প্রতিযোগিতা। ভাষা ও সাহিত্যের ওপর একটি দৃষ্টিনন্দন প্রদর্শনী থাকবে। এছাড়াও রয়েছে আবৃত্তি, উচ্চারণ, শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক সেশন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা 'হড়াই' গ্রুপ, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা 'গড়াই' গ্রুপ, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা 'কুমার' গ্রুপ, নবম শ্রেণি থেকে এসএসসির শিক্ষার্থীরা 'চন্দনা' গ্রুপ, একাদশ থেকে স্নাতকের শিক্ষার্থীরা 'পদ্মা' গ্রুপে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।

মীর সামসুজ্জামান/এমজেইউ