নোয়াখালীতে হকারদের শীতবস্ত্র উপহার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমরান নুর রফি। শীতে হকারদের কষ্ট ও কোনো সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত সংবাদ দেখে ইমরান নুর রফি তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর সিদ্দিক প্লাজায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা হকারদের মাছে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

গত ১৯ জানুয়ারি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৪৫ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রিতে জড়িত চৌমুহনী বাজারের হকার আবু ছায়েদকে (৫২) নিয়ে ‘কতটা কষ্টে দিন যায় কেউ জানে না, শীতে একটা কম্বলও পেলাম না’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ওমর ফারুক বাদশার ছেলে ইমরান নুর রফি। তিনি রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর সিদ্দিক প্লাজায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা হকারদের মাছে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

কম্বল পেয়ে হকার মো. সেলিম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওমর ফারুক বাদশা সাহেব হকারদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে খবর দিতেন, টাকা পয়সা দিতেন। উনার ছেলে আজ আমাদের কম্বল দিলেন। এভাবে আমাদের পাশে সব সময় উনার ছেলে রফি সাহেবকে চাই।

হকার ছায়েদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন আবার শীত বাড়ছে। প্রথম শীতে কষ্ট পাইসি। কেউ পাশে দাঁড়ায় নাই। ঢাকা পোস্টে নিউজ হওয়ায় আজ কম্বল পাইলাম। সবার জন্য মন থেকে দোয়া করুম।

সেনবাগ উপজেলা থেকে আসা হকার ফরহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সকালে বের হই। একটা সুয়েটারের অভাব ছিল। আজ সে অভাব পূরণ হলো। দিন দিন হকারদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রলীগ নেতাকে ধন্যবাদ। 

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমরান নুর রফি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা পোস্টে নিউজটি দেখার পর আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমার বাবা সব সময় অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন। আমার মা শাহনাজ বেগম বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি অসুস্থ থাকায় আজকের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে আমার বাবার মতো আমাকে সব সময় যেকোনো মানবিক কাজে পাবেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা গোলাপের আয়োজেন পত্রিকার হকারদের মাঝে উষ্ণতার ছোঁয়া অনুষ্ঠানে শাহেদ মুনিম ফয়সল, মাহবুবুর রহমান, জিয়াউল হক ভূঁইয়া, গণমাধ্যমকর্মী ইয়াকুব নবী ইমন, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি হাসিব আল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/আরকে