পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার পরিকল্পনায় ভাতিজাকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজন পলাতক রয়েছেন।  

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এএসএম সিরাজুল হুদা।

গত ২৫ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের করতোয়া নদীর পাশে ধানশুকা এলাকার একটি চা বাগান থেকে কামরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পাঁচ দিন পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি তিরনইহাট ইউনিয়নের যুগীগছ এলাকার কামরুল ইসলাম বাজার করতে শালবাহান হাটে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে বাজার ও সাইকেল পাঠালেও তিনি ফেরেননি। বাড়িতে না ফেরায় পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পর দিন সকালে তার বাবা আব্দুল জব্বার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। জিডির পর থেকেই পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের একপর্যায়ে হত্যার অভিযোগে প্রথমে দিদার ও পরে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদেরকে রিমান্ডে আনা হলে ঘটনাটি জমি-সংক্রান্ত বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। ঘটনার মূল পরিকল্পনা করেন কামরুলের আপন চাচা সাইফুল ইসলাম। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরেকজন নজিবুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ সুপার এএসএম সিরাজুল হুদা বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম কামুর সঙ্গে চাচা সাইফুলের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে চাচা সাইফুল কামরুলকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। সে পরিকল্পনায় হত্যাকারী দিদার ও নজিবুল ইসলাম গত ২৩ জানুয়ারি কামরুলকে মেরে চা বাগানে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় প্রথমে আমরা দিদারকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাকে  রিমান্ডে নেওয়া হলে তার তথ্য অনুযায়ী রোববার (২৯ জানুয়ারিরী) হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল ইসলামকে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর এক সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় মোট তিনজন জড়িত। এদের মধ্যে পলাতক নজিবুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ প্রমুখ। 

এসকে দোয়েল/আরএআর