প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমাকে শিবচর উপজেলার স্মার্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করার জন্য আনা হয়েছে, এসে দেখি এমন দৃশ্য যা চোখ জুড়ানোর মতো। আমি যা দেখলাম তাতে মাদারীপুরের শিবচরের এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরীকে বলবো আমার এলাকায় গিয়ে এমন উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু করে দেওয়ার জন্য। শিবচরে যে আসবে তার উন্নয়ন দেখে অবশ্যই মুগ্ধ হয়ে যাবে। একটা উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার, মার্কেট, সরকারি অফিসে ৮৮০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমানো যাবে। এখানে না আসলে তো আমি কখনোই তার উন্নয়ন দেখতে পারতাম না। আর এই উন্নয়নগুলো করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় স্মার্ট কার্যক্রম শুরু ও উপজেলায় স্থাপিত ৮৮০টি সিটি ক্যামেরার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, চারটি বিষয় হলো প্রধান তা হলো স্মার্ট শাসন ব্যবস্থা, স্মার্ট কমিউনিটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সিটিজেন। চারটি বিষয়কে প্রধান্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্মার্ট অর্থনীতি। তাই বাংলাদেশের মধ্যে শিবচর উপজেলায় স্মার্ট কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে স্মার্ট বিনিয়োগ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য আমি অনুরোধ করবো, স্মার্ট বিনিয়োগকারীরা স্মার্ট শিবচরে বিনিয়োগ করুক। আমি সকল ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবো।

সালমান এফ রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বিনিয়োগকারী সৃর্ষ্টি করতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতির সকল দিক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ এখন উর্বর গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা গ্রামে এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এসব উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হলে এই সরকারকে আগামীতে টিকিয়ে রাখবো আমরা সকলে মিলে।

এরপর সালমান এফ রহমান চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চিত্রকর্ম প্রদশর্নী ঘুরে দেখেন। এর আগে তিনি এফ আর খান উদ্যোক্তা সম্মেলন ও জব ফেয়ারের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সকালে তিনি শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী এলাকার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সাংসদ নূর-ই-আলম চৌধুরী, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, বেগম নাহিদ ইজাহার খান, বেগম খাদিজাতুল আনোয়ার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম খান। 

রাকিব হাসান/এমএএস