বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, গত বছরের জুন মাস থেকে আমরা একটি গণ আন্দোলনে আছি এবং সে আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। আমাদের বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো তার উদাহরণ। আমাদের পল্টন অফিসের সামনে হামলা, মহাসচিবকে গ্রেপ্তার, মির্জা আব্বাসসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পরও আমাদের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা আছে, মাঠে আছে। এসব দেখে বর্তমান আওয়ামী সরকার ভীত, প্রশাসন ভীত। আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। তাই শহরের মধ্যে আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরতলীর কোমরপুরে অবস্থিত আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।।

শামা ওবায়েদ বলেন, ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য আমরা শহরের ভেতর চারটি মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম এর যে কোনো একটি মাঠ আমাদের দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এর একটাই কারণ, আওয়ামী লীগ এখন সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তারা বিএনপির গণজাগরণকে ভয় পায়।

শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি শুধু দশ দফা আন্দোলন করছে তা না। জনগণের কথা ভেবেই আমরা বিদ্যুতের দাম, দ্রব্যমূল্যের দাম এসব কমানোর দাবি করছি। বিএনপি জনগণের ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে। এসব আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততাকে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই আমাদের শহরের ভেতর সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, এর আগে শহরের অম্বিকা ময়দানে আমাদের গণ অবস্থান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে (১১ জানুয়ারি) হামলা করা হয়েছে। এবার কোমরপুরের মাঠে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না বলে প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের বিষয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবদের তো কোনো দৈর্ঘ্যও নাই, প্রস্থও নাই। উনাদের সমাবেশে লোক হয় না, লোক ভাড়া করে আনতে হয়, বিরিয়ানি খাইয়ে আনতে হয় তারপরও উনাদের লোক হয় না। বিভিন্ন সমাবেশে ৫০০/১০০০ লোক দেখে ওবায়দুল কাদের সাহেব বিরক্ত হয়ে যান, সেই বিরক্তি উনি নেতাকর্মীদের ওপর প্রকাশ করেন। 

পদত্যাগ করেও আবদুস সাত্তার ভূঞার আবার সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, এটা দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয় তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ এই সুযোগটি নিয়েছে। এর বিচার তার এলাকার জনগণ করবে।

মাঠ পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খন্দকার মাশুকুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন ও আফজল হোসেন খান, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হোসেন, ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জহির হোসেন/আরএআর