তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। দুপুর ২টা থেকে নগরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে দলটি। এদিন সমাবেশকে ঘিরে নৈরাজ্য হলে তা প্রতিহত করতে মাঠে থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। বেলা ১১টায় নগরের জিমনেসিয়াম মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তবে এটিকে ‘উসকানিমূলক’ বলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সমাবেশে সকল উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে যোগ দিয়ে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যথাসময়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলেছেন।

ইকরামুল হক টিটু বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শান্তির পক্ষে। স্বনির্ভর দেশ গড়ার জন্য সরকার কাজ করছে। আমাদের শান্তি সমাবেশ হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, কেউ যেন সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোনো নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ যেন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সতর্ক অবস্থায় মাঠে আছে। এটি আমাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মসূচিরই অংশ। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এটি আওয়ামী লীগের চিরাচরিত অভ্যাস। আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনো কর্মসূচি নেই। বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে তারা উসকানি দিয়ে সংঘাত ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। 

তিনি আরও বলেন, শান্তি সমাবেশ তখনই হয় যখন অশান্তির সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আমাদের দ্বারা কখনো অশান্তির সৃষ্টি হয় না। গত ছয় দিন যাবত ময়মনসিংহ বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলায় সমাবেশ, মিছিল, গণসংযোগ করেছি, কিন্তু কোথাও শান্তি বিঘ্নিত হয়নি। আওয়ামী লীগ এই শান্তি সমাবেশের নামে ময়মনসিংহে একটি অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন এটি নিয়ন্ত্রণ করে সেই আহ্বান জানাই। 

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সমাবেশকে ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা নেই। পুরো নগরজুড়ে অন্তত ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উবায়দুল হক/আরএআর