চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এক ইউপি সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে জুতাপেটা করার অভিযোগে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে চেয়ারম্যানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্য রোকসানা বেগম। রোববার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে প্রকল্পের কাজ ভাগাভাগি ও ভুক্তভোগী নারী সদস্য রোকসানা বেগমের বিরুদ্ধে অপর এক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাকিবুলকে মোবাইলে গালাগাল করার ঘটনায় জরুরি সভা ডাকেন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম। এ সময় সব ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ওই সভা চলার এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওই নারী সদস্যের বিচার চান। পরে চেয়ারম্যান ওই নারী সদস্যকে ভৎর্সনা করেন এবং ক্ষমা চাইতে বলেন। এ সময় ভুক্তভোগী নারী ইউপি সদস্য একতরফা তাকে দোষারোপ না করার জন্য চেয়ারম্যানকে বললে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনেই তার চুলের মুঠি ধরে পায়ের জুতা খুলে পেটান।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, ঘটনার দিন ইউনিয়নের সকল সদস্যদের নিয়ে ভি.জি.ডি কার্ড সংক্রান্ত জরুরি আলোচনায় বসি। আলোচনার এক পর্যায়ে ওই নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম মৌখিক অভিযোগ করেন যে, তাকে রোকসানা বেগম মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকসানা উত্তেজিত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ও জনসম্মুখে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় উপস্থিত সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে প্রতিহত করে। এরপর সে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে থাকে শ্লীলতাহানি করেছি বলে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উবায়দুল হক/আরকে