হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এসে উপহারের গাড়ি গ্রহণ করেছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নরপতি গ্রামে এসে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমানের কাছ থেকে তিনি গাড়ির কাগজপত্র ও চাবি গ্রহণ করেন। 

এ সময় হিরো আলম বলেন, ভালোবাসার উপহার গাড়ি গ্রহণ করলাম। আমার গাড়ি আছে, কিন্তু এখানে এসেছি ভালোবাসার টানে। এই ভালোবাসার উপহার আমি গ্রহণ করেছি। তবে গাড়িটি দরিদ্র রোগী ও লাশ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হবে। 

এদিকে হিরো আলমের আগমন উপলক্ষে নরপতি গ্রামের মখলিছুর রহমানের বাড়িতে সকাল থেকে সাজ সাজ রব বিরাজ করে। দুপুর আড়াইটার দিকে হিরো আলম অনুষ্ঠানস্থলে আসলে ব্যাপক করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাহারের সভাপতিত্বে ‘সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমান কর্তৃক হিরো আলমকে নোয়াহ গাড়ি উপহার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র গ্রহণ করেন হিরো আলম। 

তার বক্তব্যের শুরুতেই মঞ্চ থেকে নেমে অতিরিক্ত মানুষকে নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে হিরো আলম বলেন, আমরা মঞ্চ ভেঙে পড়ার ভিডিও দেখেছি। তাই আমাদেরও যাতে সেরকম না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত মানুষকে মঞ্চ থেকে নামতে হবে।

প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমান বলেন, হিরো আলম বাংলার বাঘ। বগুড়ায় দুটি আসনে নির্বাচনের সময় ফেসবুকে আমার ভাই এই বাংলার নায়ক হিরো আলমকে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে ছোট্ট উপহার হিসেবে ফেসবুকে নোয়াহ গাড়িটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেই। এরপর মিডিয়ায় আমাকে গালিগালাজসহ নানা ধরনের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়। আজ হিরো আলম এসে সব কিছুর জবাব দিয়েছেন।

এম মখলিছুর রহমান চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি হাজী আব্দুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি ফেসবুকে বগুড়ার উপনির্বাচনের সময় হিরো আলমকে একটি নোয়াহ গাড়ি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই গাড়িটি নিতেই তার বাড়িতে যান হিরো আলম। 

প্রসঙ্গত, বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম একতারা প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। তিনি মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন। এই আসনে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম। 

গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনের ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দেন। যা শতকরায় ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

অন্যদিকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে মাত্র ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন। 

আজহার/আরএআর