শাহিন

পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসায় ভালোই কাটছিল পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের শাহিন খানের (৪২) সংসার। করোনাকালে ধস নামে সেই ব্যবসায়। অসুখে মারা যায় ৬ লাখ টাকার মুরগি। এতে চরম বিপাকে পড়ে যান তিনি।

দুর্দিনেও ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন শাহিন খান। রাশেদুল ইসলাম নামে একজন মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকার চুক্তিতে তাকে সৌদি আরব নিয়ে যান। তবে সেই মোটা অংকের বেতন আর পাওয়া হয়নি শাহিনের। প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে জেল খাটাতে হয় তাকে। দেশে ফিরেছেন নিঃস্ব হয়ে। এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা শাহিন। তার পরিবারের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। শাহিন এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

ভুক্তভোগী শাহিন জানায়, পোল্ট্রি ব্যবসা দিয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিল। করোনাকালে ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়ে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে একরাতে অসুখে মারা যায় ৬ লাখ টাকার মুরগি। চরম বিপাকে পড়ে যান তিনি। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে রাশেদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক সৌদি প্রবাসী তাকে মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখায়। কপিল মালিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা বলে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন ওই প্রবাসী রাশেদুল। চুক্তিমত ঋণ, ধার-দেনা ও জমি বন্ধক রেখে তাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে তাকে সৌদি নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে গা ঢাকা দেয় রাশেদুল। ওই বাসায় খেয়ে না খেয়ে কয়েকদিন কাটে তার। নিরুপায় হয়ে সে কাজের সন্ধানে বের হলে সৌদির পুলিশ তাকে আটক করে। জেলে আটকের বিষয়টি শাহিনের পরিবার জানতে পারলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন তারা।

শাহিন বলেন, দেশে ফিরে এসে আমি ঋণের টাকা চাপে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। সম্প্রতি রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনেরা আমাকে টাকা না দিয়ে উল্টো গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেয়।  

এ বষিয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফুল ইসলাম সাগর/আরকে