ভুক্তভোগী লিটন আহমেদ

প্রসূতি বোনকে নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন লিটন আহমেদ।গতকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিজারের মাধ্যমে তার বোন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নবজাতক। পরে হাসপাতালে বারবিট নামে ইনজেকশনের সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে কিনে আনতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

লিটন আহমেদ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বিভিন্ন ফার্মেসিতে গেলেও পাননি সেই ইনজেকশন। পরে হাসপাতালের বিপরীতে থাকা আখানগর ফার্মেসিতে ১৬ টাকার ইনসেপ্টা কোম্পানির বারবিট ইনজেকশনটি তাকে ৮০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চড়া দামে ইনজেকশনটি কেনেন লিটন আহমেদ। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কাস্তোর গ্রামে। 

লিটন আহমেদ বলেন, আমি সবগুলা ফার্মেসি খুঁজেও পাইনি। পরে আখানগর ফার্মেসি থেকে দিতে চাইলো। আমি দাম জানতে চাইলে তিনি ১ হাজার টাকা চান। অথচ সেটির দাম ১৬ টাকা। আমি এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দাম কমানোর অনেক অনুরোধ করলাম। কিন্তু তিনি বললেন সম্ভব নয়। পরে আরও অনুরোধ করার পর ৮০০ টাকা দিয়ে আমাকে ইনজেকশনটা নিতে হলো। আমি নিরুপায় হয়ে কিনতে বাধ্য হয়েছি। তাদের কাছে রশিদ চেয়েছিলাম তারা দেননি। এভাবে যদি এতো দাম নেওয়া হয় তাহলে তো আর কিছু করার থাকে না। আমি চাই যারা এতো দাম নেয় তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। 

আখানগর ফার্মেসির মালিক খাদেমুল ইসলাম বলেন, কোম্পানি কোনো সরবরাহ দিতে পারছে না। সে কারণে ইনজেকশনটির দাম বেশি। আমাদের কেনা বেশি, সে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। 

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, এই ইনজেকশনটি সরবরাহ নেই। তবে এতো দাম নেওয়া ঠিক হয়নি। সেটির বাজার মূল্য ১৬ টাকা। ইনজেকশনটির সংকট থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি ভোক্তা অধিকার আইনের বহির্ভূত কাজ। এ ঘটনায় কোনো ভোক্তা অভিযোগ করলে আমরা শুনানি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ছাড়াও ভোক্তাদের স্বার্থে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। 

এম এ সামাদ/আরএআর