পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে মহিপুর বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার এলাকজুড়ে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে পর্যটকদের হাজারো বাস ও মাইক্রোবাস। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল-মোটেল। বেচাকেনা বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা মোটরসাইকেলে। কেউবা ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সৈকতের জিরো পয়েন্টে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াকাটার কাউয়ারচর, চর গঙ্গামতি, গঙ্গামতি, ঝাউবাগান, শুঁটকি পল্লী, লেম্বুর বন, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ।

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক মো. সামিম বলেন, গতকাল বিকেলে আমরা কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। তখন এতো বেশি মানুষ ছিল না। কিন্তু সকাল থেকে লোকে লোকারণ্য পুরো কুয়াকাটা সৈকত। আমরা পরিবারের সদস্যরা অনেক আনন্দ করেছি। বাচ্চা ঘোড়ায় চরে বেশ মজা পেয়েছে। 

ঢাকা থেকে আসা নারী পর্যটক মাইসা রহমান বলেন, এতো বেশি মানুষ একসঙ্গে আমি আর কখনো দেখিনি। পরিবারের সঙ্গে ভোরে এসেছি। সবাই মিলে সৈকতে সাঁতার কেটেছি। দারুন একটি উপলব্ধি। বেশ ভালো লাগছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডের কাজ প্রথম দিকে দ্রুত হলেও এখন প্রায় বন্ধ রয়েছে তাই আগত গাড়িগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। হাজারের ওপরে গাড়ি আছে। এতে পর্যটকদের ভোগান্তি বাড়ছে। বাসস্ট্যান্ড এর কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার বলেন, আজ আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের সকল হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। আশা করছি আমাদের আগের যে লোকসান তা পুষিয়ে উঠতে পারব। 

মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, আজ কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগতদের নিরাপত্তায় আমরা বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতয়েন করেছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করছে থানা পুলিশ। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ নৌপুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।
 
আরএআর