সম্মেলনের ১৫ মাস পর রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দলীয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ১৫ মাস পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমকে সভাপতি, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে সিনিয়র সহসভাপতি, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আকবর আলী মর্জি, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীকে সহসভাপতি, কাজী ইরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপুকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসভাপতি হয়েছেন কাজী কেরামত আলী, আকবর আলী মর্জি, অ্যাডভোকেট গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, ফকির আব্দুল জব্বার, রেজাউল হক, অধ্যাপক ফকরুজ্জামান মুকুট, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সালমা চৌধুরী রুমা, ডা. পারিজাত কুমার পাল, শফিক মোর্শেদ আরুজ, হেদায়েত হোসেন সোহরাব। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন শেখ সোহেল রানা টিপু, অ্যাডভোকেট শফিকুল আজম মামুন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট উমা সেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মহসীন উদ্দিন বতু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো.আজিজুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোবিন্দ কুমার কুন্ডি, দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আনিসুজ্জামান, প্রচার ও প্রকাশনা অ্যাডভোকেট শফিকুল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন আরজু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হোসেন শান্তনু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মীর মাহফুজা খাতুন মলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম লাল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবু মো.হাসাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস ছাত্তার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক অরুপ দত্ত হলি, শ্রম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিন্টু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ মো.জাহাঙ্গীর জলিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা.অপূর্ব কুমার রায়।

সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে অসীম কুমার পাল, প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত ও মো.আসাদ রাসেলকে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন সাইফুল ইসলাম সোহাগ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন জালাল উদ্দীন বিশ্বাস এবং কোষাধ্যক্ষ পদ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান শরিফ।

কমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছেন খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, আশিক মাহমুদ মিতুল, খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, নজরুল ইসলাম মন্ডল, কানিজ ফাতেমা চৈতি, মো.সিরাজুল ইসলাম, অনিল কুমার বিশ্বাস, রমজান আলী খান, কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ, এস এম নওয়াব আলী, মো.শওকত হাসান, আব্দুল হান্নান মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন, আকামত আলী, আব্দুল আল মাসুম, নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, গোলজার হোসেন মৃধা, হারুনুর রশিদ মানিক, আতিয়ার রহমান নবাব, শেখ মো.নিজাম, মোস্তফা মুন্সী, রন্টু চৌধুরী, মো. শামসুল আলম, আব্দুস সালাম মন্ডল, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, এমডি রফিকুল ইসলাম, নারোদ বাছার, হুমায়ুন কবির শাকিল, বিএম এহতেশাম, খোদেজা বেগম, আহমেদ হোসেন, হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আলী ও মো.মোশাররফ হোসেন।

এবার কমিটিতে সাতজন নারী সদস্য স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি একজন, আইন বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সদস্যপদে চারজন।

মীর সামসুজ্জামান/এমজেইউ