খুলনায় সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের ধাওয়া, বাধা দেওয়া ও লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন ও রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু অভিযোগ করে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে পদযাত্রা শুরু করে ইউনিয়ন বিএনপি। এর পরপরই পুলিশ তাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়। 

এছাড়া রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি ধাওয়া দেওয়া হয় ও ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অন্যান্য স্থানে কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

যদিও বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানান রূপসা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন।

এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবুসহ আরও অনেকে। 

এদিকে বিকেল ৩টায় যোগীপোল ইউনিয়নের শিরোমনি বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। খুলনা যশোর মহাসড়ক ধরে ফুলবাড়ী গেট হয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মিছিলটি কুয়েট গেটে পৌঁছায়।

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন আসছে। কঠোর ও চূড়ান্ত সেই আন্দোলনে বিজয়ী হতে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।

মনা বলেন, সরকারের লুটপাটের কারণে বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মুক্তির জন্য ছটফট করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়কদের মধ্যে এস এ রহমান বাবুল, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদীসহ মহানগর ও জেলা বিএনপির সদস্যরা, ইউনিয়ন, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

মোহাম্মদ মিলন/কেএ