সিরাজগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ভাংচুর ও ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুসহ ৩৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০০ জনের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শাহরিয়া শিপু, কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরব আলী কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামিম রেজাসহ ৭ জন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত শনিবার সকালে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, সরকারি কাজে বাধা, ককটেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার রাতে পৃথক দুই মামলা দায়ের হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ও কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় মামলায় জেলা যুবদলে সভাপতি মিজা আব্দুল জব্বার বাবুকে ১ নম্বর আসামি করে ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

অপরদিকে, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম ১৯৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩শ জনের নামে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। দুই মামলায় মোট ৯৮৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. আরিফুল রহমান মন্ডল বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দুই মামলা হয়েছে। এই মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার সিরাজগঞ্জ সদরের কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে । তবে, বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি তাদের ওপরই হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ঘটনার সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

শুভ কুমার ঘোষ/এনএফ