বসন্তের শুরুতে বাজারে দেখা মিলেছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। তবে গাজীপুরের শ্রীপুরে বাজারে আগাম তরমুজের দেখা মিললেও দাম বেশি হওয়ায় না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ওড়াল সেতুর নিচে ভ্যান গাড়িতে করে তরমুজ বিক্রি করছিলেন ফজলুল হক নামে এক ফল ব্যবসায়ী। তবে তরমুজ ক্রেতার দেখা মিললেও ৭০ টাকা কেজি দাম হাঁকায় অনেককেই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।

মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, বছরের পুরো সময় জুড়েই বিভিন্ন ধরনের ফল সংগ্রহ করে ভ্যান গাড়িতে করে শ্রীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। গত শনিবার তিনি গাজীপুর সদরের বাইপাস এলাকার ফলের আড়ৎ এলাকা থেকে ৫০ টাকা দরে দরে প্রায় দেড়শ পিস রাঙ্গামাটির তরমুজ কিনে আনেন। এরপর আরও ১০ ভাগ টাকা আড়ৎদার ও পরিবহন খরচে ব্যয় হয়েছে। কিছু তরমুজ পরিবহনের সময় নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কেনা দামের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।

তিনি বলেন, আমি মনে করেছিলাম আগাম তরমুজ পেয়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়বে। শনিবার সকালে আড়ৎ থেকে তরমুজ কিনে এনে বিকেল থেকে বিক্রি শুরু করেছি। তিন দিন পার হলেও ক্রেতাদের খুব একটা আগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো সাড়ে তিনশ কেজির মতো তরমুজ রয়ে গেছে। ক্রেতারা দাম শুনে দামাদামি না করেই চলে যাচ্ছেন। গত বছরও আড়ৎ থেকে পিস ধরে তরমুজ কেনা যেত। এখন পিস দরে আড়ৎদাররা তরমুজ দিচ্ছে না। কেজি দরেই আনতে হচ্ছে। অন্যান্য সবাই নিয়েছে তাই আমিও নিতে বাধ্য হয়েছি।

ফজলুল হকের ভ্যান গাড়ি থেকে তরমুজ কিনতে দামাদামি করছিলেন পেশায় কারখানা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালীন ফল আগে পাওয়ায় পরিবার নিয়ে খাওয়ার ইচ্ছে ছিল। একটি তরমুজ মেপে ৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজন হলো, বিক্রেতা ৭০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৪শ টাকা দাম চাওয়ায় কিনতে পারলাম না। তরমুজের দাম আরও কমবে বলে আশা তার। 

ফজলুলের কাছ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনে মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী বুলবুল হাসান বলেন, মেয়ের জন্য তরমুজ কিনেছি। ৭০ টাকা কেজি দরে প্রায় চার কেজি ওজনের একটা ছোট তরমুজ ২৭০ টাকায় কিনে নিলাম। 

মাওনা চৌরাস্তার আড়ৎদার জুয়েল রানা বলেন, এখনো গ্রীষ্মের ফল তরমুজ আমাদের আড়ৎগুলোতে ওঠেনি। ১৫ দিনের মধ্যে আসবে বলে আশা করছি। পুরোদমে তরমুজ উঠলে হয়তো দাম কমতে পারে।

শিহাব খান/আরকে