স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ক্যানসার, কিডনি, হার্টের রোগ অনেক বেড়ে গেছে। একইসঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ লোক এসব রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করে। এসব রোগ যদি আগেই শনাক্ত করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায় তবে মৃত্যুহার অনেক কমে আসবে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুযারি) দুপুরে বগুড়ায় টিএমএসএস ক্যানসার সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, টিএমএসএস দেশের নামকরা একটি বড় প্রতিষ্ঠান। তারা অনেক সেবা দিয়েছে। তাদের রয়েছে মেডিকেল কলেজ। এছাড়া ২৫০ শয্যার একটি ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপন করেছে। সেই ক্যানসার সেন্টারের আজ উদ্বোধন হয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসার জন্য এখানে উন্নতমানের মেশিন, ডাক্তার ও পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য যতগুলো হাসপাতাল প্রয়োজন তা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি ক্যানসার সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ না করে সেই প্রচেষ্টা সরকারি এবং বেসরকারিভাবে করা হচ্ছে।

এ সময় টিএমএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, টিএমএসএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মো. মতিউর রহমান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. মো. জামিলুর রহমান, টিএমএসএস’র স্বাস্থ্য সেক্টরের নির্বাহী পরামর্শক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখায় বগুড়ার ৪৫৩ জনের মাঝে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মাননা প্রদান করেন।

সম্মাননা প্রদান আয়োজনে বগুড়া (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু।

আলমগীর হোসেন/এমজেইউ