চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেতবাড়িয়া এলাকায় সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজের আড়ালে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে জামায়াত-শিবির সন্দেহে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। 

তবে ওই এলাকার জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আলিম জানান, জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার ৪ জন শিক্ষক, কয়েকজন অভিভাবক ও সুধীজনসহ সব মিলিয়ে অনুষ্ঠান থেকে ২৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

তিনি জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে শুধুমাত্র মাদরাসার বার্ষিক সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে পুলিশ বাধা দেয়। দুপুরের পর এখানে আর কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারিনি আমরা। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান ঢাকা পোস্টকে জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিক্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা। জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রধান শাখা বেতবাড়িয়ায় অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ, বার্ষিক ভোজ, দাতাদের জন্য দোয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছিল। এই বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং আটককৃতদের পরিচয় ও রাজনৈতিক পদ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী ও বার্ষিক সভায় তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তারা জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতির বিষয়ে জানেন না। পরে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে দুপুরের দিকে নারী ও শিশুদেরকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেয় পুলিশ। 

এর আগে দুপুর ২টা থেকে সুধী সমাবেশ ও বার্ষিক ভোজকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান উপস্থিত ছিলেন।  

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর