সংঘবদ্ধ দল গঠন করে মহাসড়কে ডাকাতি করতেন তারা
দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ উপজেলার মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্র। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর মোড় এলাকা থেকে ডাকাত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও মোবাইল জব্দ করা হয়। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার বারইচতল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান রনি (২২), নরোত্তমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মেহেরাজ হোসেন সাগর (২১) ও নাজিরপুর এলাকার সাহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম মিজু (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ এলাকার কিছু যুবক ছিনতাইয়ের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রায় সময় দুই উপজেলার বিভিন্নস্থানে তারা ছিনতাই করে। গ্রেপ্তারকৃতরা একই চক্রের সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর মোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী জড় হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ সময় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যান। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তির শরীরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ দল গঠন করে মহাসড়কে ডাকাতি করতেন তারা। আমরা চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে