কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ সজীব ওরফে এসকে সজীবকে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
 
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন।

সজীব কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার মিলন শেখের ছেলে। সে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠন বহির্ভূত কাজে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইন্সপেক্টর মো. বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সজীবের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তার বাড়ি থেকে ১০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সজীব একজন মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারি। তার পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। অতীতে মাদকসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে।

স্থানীয়রা বলেন, সজীব মাদক সেবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল। এছাড়াও তিনি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সজীবের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সজীব গাঁজা সেবন করেন। তার কাছে থেকে ১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হায়দারের সামনে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মাদক নির্মূলে ও জনস্বার্থে আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি তারা।

রাজু আহমেদ/এফকে