অপেক্ষা আর একদিনের। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও নতুন প্রজন্মকে একুশ সম্পর্কে জানাতে আলপনা অঙ্কনে মেতেছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রবেশমুখে আলপনা অঙ্কনের এই চিত্র দেখা যায়। মাথায় গামছা, হাতে রং-তুলিসহ বাংলা সংস্কৃতির আলপনা আঁকছে সবাই। নতুন প্রজন্মকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন আয়োজন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

কলেজছাত্র সৈয়দ শিহাব বলেন, একুশের চেতনায় লালিত হওয়ার জন্য এ আলপনা অঙ্কনে অংশগ্রহণ করেছি। করোনার কারণে গত দুই বছর আলপনা অঙ্কন করা হয়নি। এবার অংশগ্রহণ করে বেশ ভালো লাগছে। একুশের ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দেওয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

স্কুলের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রিয়া বলেন, আমরা যে ভাষায় কথা বলছি তা এমনি এমনি পাইনি। এ ভাষা পেতে অনেককে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের মায়ের ভাষায় আজ কথা বলতে পারছি। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে আমরা ছোটবড় সকলে মিলে এ আলপনা অঙ্কনে মেতে উঠেছি। অনেক ভালো লাগছে এমন একটি কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে।

আলপনা অঙ্কন আয়োজক কমিটির সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, বাঙালি জাতির সংস্কৃতির শুরুটা হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। নিজের সংস্কৃতির জানান দিতে ও মায়ের ভাষায় কথা বলতে অনেকে জীবন দিয়েছেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারের মূল ফটক আলপনায় অঙ্কন করা হয়েছে। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম আলপনা। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে একুশ সম্পর্কে জানান দিতে এ আয়োজন।

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ আমাদের জানান দেয় কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। সেই একুশের চেতনা সম্পর্কে সকলকে জানান দিতে আলপনা অঙ্কনের এ আয়োজন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একুশে ফেব্রুয়ারির আগে আলপনা অঙ্কন করা হয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আলপনা অঙ্কন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে একুশের চেতনায় লালিত করার জন্য আমাদের এ প্রয়াস।

এম এ সামাদ/এমজেইউ