গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়নে বন্ধ থাকা সেই সেচপাম্পটি চালু করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই ইউনিয়নের উত্তর দামোদরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা।

কৃষক নুরুন্নবী সরকার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমরা এই সরকারি পাম্প চালুর জন্য চেষ্টা করেছি, অনেক হয়রানি হয়েছি। ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। বিএডিসিকে বিদ্যুৎচালিত পাম্প বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। আমরা এখন পানি পাচ্ছি, কাউকে কোনো টাকা দিতে হয়নি। এজন্য ঢাকা পোস্টকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই পাম্পটির মাধ্যমে আশপাশের এলাকাসহ প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বিঘা জমিতে পানি সরবরাহ হবে। এতে করে কৃষকের খরচ অনেকটাই কমে যাবে।

শাহিন আকন্দ নামে আরেক কৃষক বলেন, এই পাম্প চালু হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা এতদিন ডিজেলচালিত মেশিনে অনেক টাকা খরচ করে আবাদ করেছি। কেউ কেউ ২ হাজারের বেশি টাকা দিয়ে পানি দিয়েছে। এবার আমি ৬ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করছি।

কৃষক নুরুল হুদা আকন্দ বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে ইরি রোপণ করবো। পাম্প চালু হওয়ার পর দুই দিনে ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। তবে বিলম্বে পাম্প চালু হওয়ার কারণে চারাগাছ কিছুটা নষ্ট হওয়ার কথা জানান তিনি।

বিএডিসির সাদুল্লাপুরের উপসহকারী প্রকৌশলী আরমান বাদশা বলেন, এখানে বিদ্যুৎচালিত ৩০ ঘোড়া ক্ষমতাসম্পন্ন সাব-মার্সিবল সেচপাম্প সংযুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি এই সেচপাম্পটির সাহায্যে ৩০০ থেকে ৪০০ বিঘা জমিতে নির্বিঘ্নে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘বিএডিসির গাফিলতিতে অনিশ্চয়তায় ৩০০ বিঘা জমির চাষাবাদ!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ