স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক বিজিবি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে বরগুনা পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমিজ মোল্লাসহ (৪৫) আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অন্য অভিযুক্তরা হলেন- বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ক্রোক এলাকার মরহুম মানিক মোল্লার ছেলে রফিকুল মোল্লা (৪০), কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন মোল্লা ছোট ভাই সানাউল্লাহ সানী (৪০), মালেক মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা (৪২), পনু মোল্লার ছেলে বেল্লাল মোল্লা (৫০), মরহুম ইসমাইল মোল্লার ছেলে আলতাফ মোল্লা (৪৮), একই ওয়ার্ডের কেজি স্কুল সড়কের মোশারেফ মাস্টারের ছেলে শান্ত (২২), সোনা মিয়ার ছেলে কালু (২০)।

মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছেন বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা বিজিবির সাবেক সুবেদার মেজর গোলাম সরোয়ার (৬০), তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা লাকী (৫০) এবং তাদের ছেলে তরিকুল ইসলাম শাওন (২৫)।

আহত তিনজনকেই বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, মারধরে আহত শামীমা সুলতানা লাকীর ছোট বোন খাদিজা সুলতানা ইরনী আইন পেশায় যুক্ত থাকার সুবাদে বরিশালে বসবাস করেন। এ কারণে বরগুনা পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি সড়কে পৈতৃক জমিতে ছোট বোনের ঘর তোলার দায়িত্ব নেন বড় বোন শামীমা সুলতানা লাকী ও তার স্বামী বিজিবির সাবেক সুবেদার মেজর গোলাম সরোয়ার।

ঘরের নির্মাণকাজ চলা অবস্থায় বুধবার সকালে এক্সেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে নির্মাণাধীন ঘর অভিযুক্তরা পুরোপুরি ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা গোলাম সরোয়ার, তার স্ত্রী শামীমা সুলতানা লাকী এবং তাদের ছেলে তরিকুল ইসলাম শাওনকে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে মামলার বাদী খাদিজা সুলতানা ইরনী বলেন, পৈতৃক জমিতে আমার নির্মাণাধীন ঘর আসামিরা ভেঙে ফেলেছে। মামলার প্রধান আসামি রমিজ মোল্লা একজন কাউন্সিলর হওয়ায় তিনি তার ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে এ কাজ করেছেন। ঘর ভাঙার প্রতিবাদ করায় আমার বোন, ভগ্নিপতি এবং ভাগ্নেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়ার আশায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি

তবে বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

খান নাঈম/আরকে