পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামে মুখ পোড়া হনুমানের দেখা পাওয়া যায়। এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরি হয়। পরে সন্ধ্যায় হনুমানটি গাছ থেকে নেমে এলে এলাকাবাসী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে প্রাণীটিকে হত্যা করে মাটিচাঁপা দিয়ে রাখে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উত্তর আমখোলা গ্রামের সিদ্দিক খা বাড়ির গাছের ওপরে মুখপোড়া হনুমানকে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী এনিম্যাল লাভার্স অফ সংগঠনের সদস্যদের খবর দেয়। এনিম্যাল লাভার্স অফ পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যরা এসে এলাকাবাসীকে সচেতন করে রেখে যায়। পরে পটুয়াখালীর বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন তারা। তারাও হনুমানটি দেখে যান। সন্ধ্যার সময় হনুমানটি গাছ থেকে নিচে নেমে এলে সিদ্দিক খা নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি হনুমানটির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেন। পরে প্রাণীটির মরদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখেন। পরবর্তী সময়ে এনিম্যাল লাভার্স অফ পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যরা ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা গিয়ে হনুমানটিকে মৃত উদ্ধার করে।

এনিম্যাল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্য বাইজিদ মুন্সী বলেন, আমরা খবর পেয়ে সংগঠনের সদস্যরা গিয়ে এলাকার মানুষদের সচেতন করি। তারপরেও সন্ধ্যার দিকে হনুমানটি গাছ থেকে নিচে নেমে এলে তাকে আঘাত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পটুয়াখালী সদর রেঞ্জ অফিসার নয়ন মিস্ত্রি বলেন, বিকেলের দিকে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরি করে। তারপরেও সন্ধ্যার দিকে হনুমানটিকে মাথায় আঘাত করে মেরে, মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। রাতে ঘটনাস্থল থেকে মৃত হনুমানটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্টস্থানে তাকে মাটিচাপা দেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরকে